দুটি উঁচু ভবনের মাঝখানে সরু গলির মতো কিছুটা ফাঁকে এভাবেই পড়ে ছিল ফুটফুটে শিশুটি। ছবি : সংগৃহীত
পাশাপাশি দুটি উঁচু ভবনের মাঝখানে সরু গলির মতো কিছুটা ফাঁকে যে ফুটফুটে শিশুটি পড়ে ছিল, তার মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ব্রাক্ষণজাড়িয়ার আড়াই বছরের শিশু হালিমাকে খুনের পেছনে তার চাচা দায়ী বলে দাবি করেছে জেলা পুলিশ।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি, সোমবার সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, হালিমার মা খাদিজা বেগম কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাচা হেলাল মিয়া শিশুটিকে খুন করেছে।
হালিমা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ভাদুঘর ভূঁইয়াপাড়ার রাজমিস্ত্রী আমির হোসেনের মেয়ে। গত ২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করে সদর মডেল থানা পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের দায় হেলাল স্বাকীর করেছেন। তদন্ত করতে গিয়েই আমরা জানতে পারি, হেলাল মিয়া মাস খানেক হালিমার মাকে আগে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল। এ নিয়ে দুই পরিবারের ঝগড়াও হয়েছে। এরপর থেকেই প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ওঠে হেলাল। তখনই সে হালিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।’
চাচা হেলাল মিয়া ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি : বাংলা
‘কয়েকদিন আগে হালিমাকে বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে। কিন্তু পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়,’ বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, হেলাল জানিয়েছে, হালিমাকে হত্যার বিকল্প পরিকল্পনা হিসেবে সে তার সহযোগী রুবেলকে সঙ্গে নিয়ে ৪/৫ দিন আগে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরির্দশন করে। ঘটনার দিন হালিমাকে কোলে করে হেলাল বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে হালিমাকে এক প্যাকেট চিপস্ কিনে দিয়ে বাড়ি থেকে ৫০০ গজ দূরে একটি বহুতল ভবনের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হেলাল। আর এ হত্যাকাণ্ডের সময় রুবেল পাহারা দিয়েছিল। এ ঘটনায় রোববার রাতে রুবেলকেও তার বাড়ি থেকে আটক করেছে পুলিশ।